Responsive Ad Slot




Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts
Showing posts with label স্বাস্থ্য. Show all posts

এমপক্স কী? এটা কীভাবে ছড়ায়?

No comments

Monday, August 19, 2024

 বিবিসি:


আফ্রিকার কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়া এমপক্স নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। একসময় মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত উচ্চ সংক্রামক এই রোগের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাবে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে মারা গেছেন অন্তত সাড়ে চার শ মানুষ।

চলতি বছরের শুরু থেকে গত জুলাই পর্যন্ত এমপক্সে ১৪ হাজার ৫০০-এর বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন অন্তত ৪৫০ জন। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় সংক্রমণের এ হার ১৬০ শতাংশ বেশি এবং মৃত্যুর হার বেশি ১৯ শতাংশ।


এমপক্স কী এবং এর লক্ষণগুলো কী?
গুটিবসন্তের একই গোত্রীয় ভাইরাস হলেও এমপক্স সাধারণত অনেক কম ক্ষতিকারক।


প্রথমে এটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি মানুষ থেকে মানুষেও ছড়ায়।

এই রোগে আক্রান্তদের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পিঠে এবং পেশিতে ব্যথা।

আক্রান্ত ব্যক্তির একবার জ্বর উঠলে গায়ে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। সাধারণত মুখ থেকে শুরু হয়ে পরে হাতের তালু এবং পায়ের তলদেশসহ শরীরের অন্যান্য অংশে তা ছড়িয়ে পড়ে।

অত্যন্ত চুলকানো বা ব্যথাদায়ক এই ফুসকুড়িগুলো পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে স্ক্যাব বা গোল গোল পুরু আস্তরে পরিণত হয়ে শেষে পড়ে যায়। এর ফলে দাগ সৃষ্টি হতে পারে।

সংক্রমণের ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে এটি নিজে নিজেই ঠিক হয়ে যেতে পারে।

তবে ছোট শিশুসহ ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর জন্য কিছু ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত মারাত্মক।

এর আক্রমণের কারণে গুরুতর ক্ষেত্রে মুখ, চোখ এবং যৌনাঙ্গসহ পুরো শরীরে ক্ষত তৈরি হতে পারে।

এমপক্স যেভাবে ছড়ায়

এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস।

ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করে ভঙ্গুর ত্বক, শ্বাসপ্রশ্বাস, চোখ, নাক বা মুখের মধ্য দিয়ে। এ ছাড়া ভাইরাস লেগে আছে এমন বস্তু, যেমন বিছানাপত্র, জামাকাপড় ও তোয়ালে স্পর্শ করেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এমপক্স।

সংক্রমিত হওয়ার আরেকটি মাধ্যম সংক্রমণের শিকার পশু, যেমন বানর, ইঁদুর ও কাঠবিড়ালি।

২০২২ সালে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার পেছনে মূলত কাজ করেছে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক।

পরামর্শ

আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কমিউনিটির মধ্যে এ রোগ দেখা দিলে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

এ ছাড়া সম্পূর্ণ সেরে না ওঠা পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিকে সঙ্গনিরোধ অবস্থায় থাকতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সুস্থ হয়ে ওঠার পর আক্রান্ত ব্যক্তি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে পূর্বসতর্কতা হিসেবে তাঁর ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত কনডম ব্যবহার করা উচিত।

নিয়ন্ত্রণের উপায়

এমপক্সের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার সেরা উপায় টিকা গ্রহণ। এর টিকা রয়েছে। কিন্তু সাধারণত তাঁরাই শুধু এটি নিতে পারেন, যাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে বা রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে রয়েছেন।

সম্প্রতি ডব্লিউএইচও ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জরুরি ব্যবহারের জন্য এ টিকার সরবরাহ বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানিয়েছে; এমনকি ওই সব দেশেও, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ টিকার অনুমোদন দেয়নি।
Don't Miss
© all rights reserved
made with গণজমিন মিডিয়া লিমিটেড ২০২৪