Responsive Ad Slot




Showing posts with label সারাদেশ. Show all posts
Showing posts with label সারাদেশ. Show all posts

ক্লাস চলাকালীন সমাবেশে বাধ্য করায় টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

No comments

Wednesday, July 30, 2025

 


টাঙ্গাইলে এনসিপির পদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের যেতে ‘বাধ্য করার’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ

টাঙ্গাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের যেতে বাধ্য করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা টাঙ্গাইল  প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি চলবে না, চলবে না, চলবে না’ বলে বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বর্তমান শিক্ষার্থী সাইফুল বারী, সাবেক শিক্ষার্থী তানজিল আহমেদ ও সজিব আহমেদ প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, গত ২৯ জুলাই শহরের নিরালার মোড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির পদযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য ক্লাস চলাকালে এনসিপির নেতৃবৃন্দ বিন্দুবাসিনী সরকারি বিদ্যালয়ে ক্লাস রুমে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা অরাজনৈতিক কথা বলে শিক্ষকদের অনুমতি ছাড়াই শিক্ষার্থীদের এনসিপির সমাবেশে যেতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে এনসিপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শিক্ষকদের কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বাধ্য হয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ছুটি দেওয়া হয়।

তারা আরও বলেন, যারা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যেতে বাধ্য করেছেন, আমরা তাদের শাস্তির দাবি করছি। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান করছি। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

অভিযোগের বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান রাসেল বলেন, ‘আমি এ নিয়ে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা তাদের বলেছি, ভবিষ্যতে এনসিপির কোনো সভায় তাদের আনা হবে না।’

বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জাল হোসেন বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ বিদ্যালয়ে এসে সকাল ১১টার সময় তাদের পদযাত্রায় ছাত্রদের অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে ছাত্র দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেই। পরবর্তীতে ১১টা ৪৫ মিনিটে স্কুল ছুটি হওয়ার পর হয়তো ছাত্ররা যেতে পারে। তবে বিষয়টি আমার জানা নেই।’  

উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শহরের শামছুল হক তোরণ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রা বের হওয়ার কথা ছিল। পরে দুপুর ১টার দিকে পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের নিরালা মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ঘোষণা

No comments

Saturday, May 10, 2025

 


আজ শনিবার, ১০ মে ২০২৫ তারিখে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামি লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরিপত্র পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে।

এর পাশাপাশি, আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

সংসদ হবে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট, মোট আসন ৫০৫

No comments

Tuesday, January 14, 2025

 


জাতীয় সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, সংসদের নিম্নকক্ষে আসন থাকবে ৪০০, নির্বাচন হবে বর্তমান পদ্ধতিতে। এর মধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তাঁরা নির্বাচিত হবেন সরাসরি ভোটে। আর উচ্চকক্ষে আসন থাকবে ১০৫টি। নির্বাচন হবে আনুপাতিক পদ্ধতিতে। সংসদের দুই কক্ষ মিলিয়ে মোট আসন হবে ৫০৫টি।

সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ঠেকাতে বা এক ব্যক্তির হাতে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে না যায়, সে জন্য ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে বেশ কিছু সুপারিশ করবে এই কমিশন। পাশাপাশি বিদ্যমান সংবিধানের মূলনীতিতেও পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হবে। সংবিধান সংস্কার কমিশন তাদের সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করে শেষ মুহূর্তের কাজ করছে। আগামীকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সংস্কার কমিশনগুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করবে। এ লক্ষ্যে তাদের প্রতিবেদনে যেসব সুপারিশ থাকবে, সেগুলো মূলত দুই ধরনের হবে। কিছু হবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু দীর্ঘমেয়াদি। তবে কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এখন সংসদ নেই। ফলে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সংসদ গঠন না করা পর্যন্ত সংবিধান সংশোধন বা সংস্কার করার সুযোগ নেই।

কমিশনগুলোর প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার। চলতি মাসেই এ আলোচনা শুরু হতে পারে। সংস্কার প্রস্তাব এবং এগুলোর বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য হলে সংলাপ থেকে একটি রূপরেখা আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

দ্বিকক্ষ সংসদ যেমন হবে:

স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের পার্লামেন্ট তথা জাতীয় সংসদ এক কক্ষের। বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, সংসদে মোট আসন ৩৫০টি। ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সাধারণ নির্বাচনে পাওয়া আসনের অনুপাতে নারী আসনগুলো বণ্টন করা হয়।

সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষের ৪০০টি আসনে নির্বাচন হবে বিদ্যমান পদ্ধতিতে। আর উচ্চকক্ষে মোট ১০৫ আসনের ৫টি থাকবে রাষ্ট্রপতির হাতে। তিনি এই পাঁচ আসনে সংসদ সদস্য মনোনয়ন দেবেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির হাতে পাঁচটি আসন দেওয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে।

উচ্চকক্ষের বাকি ১০০টি আসনে নির্বাচন হবে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে। দলগুলো নির্বাচনে সারা দেশে যত ভোট পাবে তার অনুপাতে উচ্চকক্ষে আসন পাবে। দলগুলো উচ্চকক্ষে প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে যাতে বিভিন্ন অংশের প্রতিনিধিত্ব রাখে, সেটাও উল্লেখ থাকবে।

বিএনপিসহ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের কথা বলে আসছে। বিএনপি লিখিতভাবে সংবিধান সংস্কার কমিশনকে যে ৬২ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল, সেখানেও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের কথা বলেছে। জাতীয় নাগরিক কমিটিও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব দিয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মতবিনিময়েও অংশীজনদের অনেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালুর প্রস্তাব দেন।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনও সংসদের নিম্নকক্ষে বিদ্যমান পদ্ধতিতে ও উচ্চকক্ষে আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

একনায়কতন্ত্র ঠেকানো অন্যতম লক্ষ্য:

সংবিধান সংস্কার কমিশন সূত্র জানায়, তাদের যেসব সুপারিশ থাকবে, তার অন্যতম লক্ষ্য হবে গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করা এবং সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র ঠেকানো। এ জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দেওয়া হবে, যাতে এক ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার সুযোগ না থাকে। এ লক্ষ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করা; একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কয়টি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া; প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা যাতে না হন, এমন বিধান; নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করা; নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিধান; প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা; নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা—এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন।

এ ছাড়া সংবিধানের মূলনীতিতে পরিবর্তন আনার সুপারিশও করা হচ্ছে। ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার’—এই তিনটিকে সংবিধানের মূলনীতি করার সুপারিশ করবে কমিশন। এই তিনটির পাশাপাশি আরও দুটি মূলনীতিও যোগ করা হতে পারে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কমিশন আগামীকাল প্রতিবেদন জমা দেবে। এত দিন ক্ষমতা এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ছিল। তাঁরা এমনভাবে সুপারিশ করছেন, যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ জন্য নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ—এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

থমথমে দহগ্রাম সীমান্ত , অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন

No comments

Sunday, January 12, 2025

 


লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখার মধ্যে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশের বর্ডারগার্ডকে (বিজিবি) কোনো কিছু না জানিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি উভয় সীমান্তে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করায় গোটা সীমান্তজুড়ে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বিএসএফের অসংখ্য সদস্য মোতায়েন করেছে ভারত। গোটা দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে বিজিবিকেও সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

এদিকে দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করার ঘটনায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ বিরাজ করছে।

দহগ্রাম সীমান্তবর্তী এলাকার ইউপি সদস্য গোলাম রাব্বানী বলেন, বিএসএফ এর তৎপরতা রুখতে আমরা সদা প্রস্তুত রয়েছি। যে কোন পরিস্থিতিতে আমরা দেশ রক্ষার স্বার্থে ঝাপিয়ে পড়বো। বিজিবির উপর আমাদের আস্থা আছে, আমরা বিজিবির সাথে আছি।

বিজিবি ও সীমান্তের স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, ভারতের কোচবিহার রাজ্যের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন না মেনে শূন্যরেখার দেড়শো গজের একদম শেষ অংশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সীমান্তের শূন্যরেখা বরাবর আধা কিলোমিটারে প্রায় তিন ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি), রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) ওমর খসরু বলেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিএসএফকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। বেড়া উঠিয়ে নিতে হবে এ বিষয়ে বিএসএফকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বাংলাদেশ

No comments

Tuesday, December 10, 2024

 


 জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মানবাধিকার পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত মানবাধিকার পরিষদের ব্যুরোতে থাকবেন। 

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী অঙ্গ হিসেবে এই ব্যুরো জাতিসংঘের পাঁচটি আঞ্চলিক গ্রুপের প্রতিটির প্রতিনিধিত্বকারী একজন প্রেসিডেন্ট এবং চারজন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়ে গঠিত।

এপিজি সর্বসম্মতিক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্সির জন্য বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে সমর্থন করে এবং কাউন্সিলের বৃহত্তর সদস্যপদ বিবেচনার জন্য মনোনয়ন প্রেরণ করে। অবশেষে প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সমাপ্ত হয়। বাংলাদেশ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সমগ্র কাউন্সিল সদস্যদের সর্বসম্মত সমর্থন অর্জন করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা ও বিশ্বাস এবং বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ও ক্রমবর্ধমান প্রভাবের স্বীকৃতির আরেকটি উদাহরণ।

গ্রামীণ ব্যাংকে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

No comments

Thursday, November 21, 2024

 


 গ্রামীণ ব্যাংকে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ:-

সংস্থাটি প্রশিক্ষণ প্রকল্পে ২ ক্যাটাগরির (শিক্ষানবিশ অফিসার ও শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক) পদে অস্থায়ীভাবে কর্মী নিয়োগে প্রকাশ করে এ বিজ্ঞপ্তি। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠোনের নাম: গ্রামীণ ব্যাংক:-

১. পদের নাম: শিক্ষানবিশ অফিসার;

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়;

বেতন স্কেল: ২২,০০০—৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯);

আবেদনের যোগ্যতা—

*স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি অথবা, ৩ বছর মেয়াদি স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে;

*শিক্ষাজীবনের সব পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ-৫ স্কেলে ৩ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সিজিপিএ-৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ থাকতে হবে;

*শিক্ষা জীবনের কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য নয়;

বয়স: সর্বোচ্চ ৩২ বছর (৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে);

২. পদের নাম: শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক;

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়;

বেতন স্কেল: ৯,৭০০—২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)

আবেদনের যোগ্যতা—

*এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে;

*এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার প্রতিটিতে জিপিএ ন্যূনতম ৩ থাকতে হবে;

বয়স: সর্বোচ্চ ৩২ বছর (৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে);

প্রশিক্ষণ পদ্ধতি (শিক্ষানবিশ অফিসার)—

শিক্ষানবিশ অফিসারদের গ্রামীণ ব্যাংক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের আওতায় এক বছর (দুটি পর্ব) প্রশিক্ষণগ্রেহণ করতে হবে; 

সুযোগ-সুবিধা (শিক্ষানবিশ অফিসার পদের ক্ষেত্রে)—

*প্রশিক্ষণকালীন প্রথম পর্বে মাসিক ১৩,০০০ টাকা হারে ও প্রথমপর্বের প্রশিক্ষণ সফলভাবে সমাপ্তকারীদের দ্বিতীয়পর্বে ১৫,০০০ টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়া হবে

*দ্বিতীয়পর্ব সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা গ্রামীণ ব্যাংক বেতন স্কেলের ৯ম গ্রেডে ২২,০০০—৫৩,০৬০ টাকার বেতন স্কেলে ‘সিনিয়র অফিসার’ পদে নিয়োগ পাবেন।

*গ্রামীণ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন;

প্রশিক্ষণ পদ্ধতি (শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপক)—

শিক্ষানবিশ কেন্দ্র ব্যবস্থাপকেরা গ্রামীণ ব্যাংক প্রশিক্ষণকেন্দ্রের আওতায় এক বছর (দুটি পর্ব) প্রশিক্ষণগ্রহণ করতে হবে;

সুযোগ-সুবিধা (শিক্ষানবিশ অফিসার পদের ক্ষেত্রে)—

*প্রশিক্ষণকালীন প্রথম পর্বে মাসিক ৯,০০০ টাকা হারে এবং দ্বিতীয়পর্বে ১০,০০০ টাকা হারে প্রশিক্ষণ ভাতা পাবেন;

*দ্বিতীয়পর্ব সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের গ্রামীণ ব্যাংক বেতন স্কেলের ১৫তম গ্রেডে ৯,৭০০—২৩,৪৯০ টাকার বেতন স্কেলে ‘কেন্দ্র ব্যবস্থাপক’ পদে নিয়োগ পাবেন;

*গ্রামীণ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন;

আবেদন যেভাবে—

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদন ফি—

আবেদন ফি বাবদ ২০০ টাকা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট;

আবেদন যেভাবে: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন;

কাজের ক্ষেত্র, আবেদনপদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিচের বিজ্ঞপ্তি দেখুন—



নিক্কেই এশিয়া -- বাংলাদেশের 'আয়রন লেডি' শেখ হাসিনার পতন!

No comments

Monday, August 26, 2024



নিক্কেই এশিয়া --
শেখ হাসিনা, যিনি বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশকে লোহার মুষ্টিতে শাসন করেছেন, 5 আগস্ট ক্রমবর্ধমান সহিংস বিক্ষোভের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন, অবশেষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।


জনতা খালি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ভিড় করে, "নাগরিক বিপ্লবের" বিজয়ে আনন্দে এবং বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মহিলা সরকার প্রধান হিসাবে হাসিনার 15 বছরের রাজত্বের আকস্মিক সমাপ্তি চিহ্নিত করে।

বাংলাদেশের দৈনিক প্রথম আলো, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং রয়টার্স সহ অন্যান্য মিডিয়া আউটলেটের রিপোর্ট অনুযায়ী, হাসিনার অফিসে থাকার শেষ 24 ঘন্টার সময়টা আবার দেখার মতো।

4 আগস্ট সন্ধ্যা 6 টায়, হাসিনা ক্রমবর্ধমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভ দমনের লক্ষ্যে একটি অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশব্যাপী কারফিউ জারি করেন। সেই রাতে, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে একটি অনলাইন সভা আহ্বান করেন এবং তাদের নির্দেশ দেন যে কারফিউ অমান্য করে এবং রাস্তায় নেমে আসা বেসামরিক লোকদের উপর গুলি না চালানোর জন্য। সেনাপ্রধান তখন প্রধানমন্ত্রীকে ডেকে রিপোর্ট করেন যে তার সৈন্যরা রাজধানী ঢাকায় লকডাউন কার্যকর করতে পারেনি।

৫ আগস্ট সকাল নাগাদ হাসিনাকে কড়া পাহারায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে লুকিয়ে রাখা হয়। বিক্ষোভ দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ জানিয়েছে যে তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা হাসিনাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

হতাশাগ্রস্ত হয়ে, সিনিয়র কর্মকর্তা হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিরলস প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে রাজি করতে বলেছিলেন, কোন লাভ হয়নি। হাসিনার ছেলে, সজীব ওয়াজেদ জয়, একজন ব্যবসায়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী সরকারের উপদেষ্টা, তাকে ফোন করেছিলেন এবং তিনি অবশেষে বিদায় নেন। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, তিনি দ্রুত ভারতে প্রবেশের জন্য অস্থায়ী অনুমতির জন্য আবেদন করেছিলেন।

হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সহযোগীরা তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছিল। তারা অনুমান করেছিল যে ভিড় 45 মিনিটের মধ্যে পৌঁছাবে। তিনি এবং রেহানা সরকারী বাসভবনের কাছে একটি পুরানো বিমানবন্দরে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে, পদত্যাগ সম্পূর্ণ করতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের বাসভবনে অবতরণ করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর, জেনারেল জামান একটি টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং ঘোষণা করেন যে তিনি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন।

ক্ষমতাচ্যুত এই নেতা, যিনি শেষ অবধি ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন, তিনি একটি অস্থির জীবনযাপন করেছেন।

হাসিনা ১৯৪৭ সালে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা, শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং 1971 সালে পাকিস্তান থেকে দেশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের একজন নায়ক, চার বছর পরে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন। হাসিনার মা ও ১০ বছর বয়সী ভাইসহ তার পরিবারের ছয় সদস্যকে হত্যা করা হয়। হাসিনা ও রেহানা ওই সময় পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় গণহত্যা থেকে রক্ষা পান। তারা বহু বছর ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন।

1981 সালে, হাসিনা দেশে ফিরে আসেন এবং তার পিতার প্রতিষ্ঠিত একটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ (AL) এর সভাপতি হন। 1990 সালে দেশের গণতন্ত্রীকরণের পর, তিনি 1991 সালের সাধারণ নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেন।

কিন্তু আওয়ামী লীগ অপ্রত্যাশিতভাবে খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কাছে হেরে যায়।

1996 সালের নির্বাচনে হাসিনা জয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন, কিন্তু দুটি প্রধান দল সরকারে বিকল্পধারা অব্যাহত রাখে। যাইহোক, 2009 সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পর, হাসিনা ক্ষমতা সংহত করেন, বিরোধী দলকে দমন করেন এবং তার শাসনকে দীর্ঘায়িত করেন।

সরকারি চাকরির জন্য বিতর্কিত কোটা পদ্ধতির কারণে বাংলাদেশের "আয়রন লেডি" এর চমকপ্রদ পতন ঘটে। বাংলাদেশ, দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ, নারী, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং অনুন্নত অঞ্চলের লোকদের জন্য সংরক্ষিত চাকরি; 30% দাগ 1971 সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে "মুক্তিযোদ্ধাদের" সন্তান ও নাতি-নাতনিদের কাছে গিয়েছিল।

যদিও দেশটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে শক্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উপভোগ করেছে, পোশাক তৈরির মতো শ্রমঘন শিল্পের নেতৃত্বে, উচ্চ শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে বেকারত্ব ব্যাপক। কোটা ব্যবস্থাকে অন্যায্য আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।

ছয় বছর আগেও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলেন। হাসিনা রাজি হন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত সেট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু চলতি বছরের ৫ জুন কোটা প্রথা বিলুপ্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্ট নীতিগত সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে কোটা পুনর্বহাল করেন। আদালতের রায়ে আবারও বিক্ষোভ শুরু হয়।

সরকার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল, কিন্তু ছাত্ররা তাদের ক্ষোভকে সরকারের উপর কেন্দ্রীভূত করেছিল, বিশ্বাস করে যে এই রায় রাজনৈতিক চাপের ফলে হয়েছে। হাসিনা দাবি করেন যে বিএনপির মতো বিরোধী দল পর্দার আড়ালে ছাত্রদের কারসাজি করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে ক্র্যাক ডাউন করার নির্দেশ দিয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যখন হাসিনা বিক্ষোভকারীদের "রাজাকারদের পরিবার" বলে অভিহিত করেন, যা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগিতাকারী লোকদের উল্লেখ করে।

সহিংসতা চাকরি নিয়ে যে প্রতিবাদ ছিল তা সরকারকে উৎখাত করার আন্দোলনে রূপান্তরিত করেছে। ২১শে জুলাই সুপ্রিম কোর্ট সরকারি চাকরির বেশিরভাগ কোটা বাতিল করে দেয়, কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে উভয় পক্ষের অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। 16 অগাস্ট প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সরকার পতনের পর ছাত্র বিক্ষোভ এবং পরবর্তী অশান্তিতে প্রায় 650 জন মারা গেছে।

হাসিনা বিক্ষোভে তার নৃশংস প্রতিক্রিয়ার জন্য মূল্য পরিশোধ করেছেন। এটি এমন একজন মহিলার জন্য একটি আশ্চর্যজনক পালা, যিনি 43 বছর আগে, স্বাধীনতার নায়কের কন্যা হিসাবে আনন্দের সাথে স্বাগত জানিয়েছিলেন। এখন তিনি নিজেকে আবার প্রবাসে খুঁজে পান।

বড় প্রশ্ন হল হাসিনা, যিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের দিকে অগ্রযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হয়েছিল, তিনি কেন একজন নির্মম স্বৈরাচারী শাসক হয়ে উঠলেন।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপিং ইকোনমিসের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মায়ুমি মুরায়ামা স্মরণ করে বলেন, "হাসিনা 1996 সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় আমাকে একজন কর্তৃত্ববাদী রাজনীতিবিদ হিসাবে আঘাত করেননি।" তিনি উল্লেখ করেন যে হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুই বছর পর 2009 সালে ক্ষমতায় ফিরে আসার পর কর্তৃত্ববাদের প্রতি ঝোঁক দেখাতে শুরু করেন।

বিরোধী দলে থাকাকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে হাসিনা সংবিধান সংশোধন করেন। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য একটি ব্যবস্থার অভাব ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ স্থানান্তরকে বাধা দেয় এবং তার কর্তৃত্ববাদকে আটকে রাখতে দেয়।

তিনি নিশ্চিত করেছিলেন যে জিয়াকে দুর্নীতির জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, বিএনপিকে দুর্বল করেছে, তবে তার কর্তৃত্ববাদী প্রবৃত্তি বিরোধীদের দমনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি উদ্যোগের সাথে তার পিতার দেবীকরণের প্রচার করেছিলেন এবং এমন একটি পরিবেশ তৈরি করেছিলেন যেখানে সরকারের সমালোচনা সহ্য করা হয়নি।

বাকস্বাধীনতার কঠোরতম দম বন্ধ করার ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং গণমাধ্যমে। আ.লীগের ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রশাসনের সমালোচকরা হয়রানির শিকার হয়, যেমন ছাত্রাবাসে প্রবেশাধিকার বঞ্চিত। মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরির কোটা নিয়ে বিক্ষোভ ছিল হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের প্রাথমিক সুবিধাভোগী আ.লীগকে সমর্থনকারী ছাত্রদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

হাসিনা তার নীতি থেকে ভিন্নমত পোষণকারী ঘনিষ্ঠ সহযোগীদেরও বহিষ্কার করেছেন, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মশিউর রহমান, যিনি তার বাবার সচিব ছিলেন এবং পররাষ্ট্র নীতি উপদেষ্টা গওহর রিজভীর মতো দীর্ঘকালীন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেছেন। ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য হিন্দু বলেছে, হাসিনা "তার সেরা উপদেষ্টাদের থেকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।" শেষ পর্যন্ত, শুধুমাত্র তার বোন রেহানা যাকে হাসিনা বিশ্বাস করতে পারেন বলে মনে করেন।

"হ্যাঁ-পুরুষ দ্বারা পরিবেষ্টিত, প্রধানমন্ত্রী প্রতিবাদী ছাত্রদের যুক্তি এবং উপলব্ধি সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি," মুরায়ামা পর্যবেক্ষণ করেছেন।

রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন, যার কোনো প্রকৃত রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই, তিনি সঙ্কটের পরবর্তী পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবেলায় জেনারেল জামানের সাথে সহযোগিতা করেছিলেন। বিরোধী দল, নাগরিক সংগঠন এবং ছাত্র গোষ্ঠীর সাথে পরামর্শ করার পর, তিনি আ.লীগ-অধ্যুষিত সংসদ ভেঙে দেন এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেন, যেটি দরিদ্র লোকদের ছোট ঋণ প্রদান করে, যে কাজটি তাকে নোবেল জিতেছিল। 2006 সালে শান্তি পুরস্কার।

পণ্ডিত, প্রাক্তন কূটনীতিক, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মী এবং ছাত্র প্রতিনিধি সহ 16 জন উপদেষ্টার সমন্বয়ে গঠিত, অস্থায়ী সরকারকে দেশে স্থিতিশীলতা আনয়ন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের নির্বাচকমণ্ডলী দীর্ঘদিন ধরে বিভক্ত, প্রায় 30% দুটি প্রধান দল, AL এবং BNP-এর প্রত্যেককে সমর্থন করে, বাকি 40% অসংলগ্ন বা ছোট দলগুলিকে সমর্থন করে। গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়া জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সম্ভবত রাজনৈতিক গতি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করবে। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে যদি এটি আবার ক্ষমতায় আসে, তাহলে বিএনপি আ.লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালানোর জন্য প্রলুব্ধ হবে, যার ফলে প্রতিশোধের একটি চক্রের ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা তৈরি হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন বলেন, "বাংলাদেশের জনগণ এতদিন যে বাইনারি রাজনীতি চলছে তা মেনে নেয় না। এ কথা বললে, তৃতীয় কোনো পক্ষের উদ্ভব এবং অল্প সময়ের মধ্যে মানুষের জন্য সত্যিকারের বিকল্প প্রদান করাও কঠিন হবে। সময়ের সময়কাল।"

"বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছে," ইউনূস তার শপথ অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বাংলাদেশিদের পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং জাতি পুনর্গঠনের জন্য চিহ্নিত স্থিতিস্থাপকতার চেতনাকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার জন্য তার দৃঢ় প্রত্যয়ের উপর জোর দিয়েছিলেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শেষ পর্যন্ত সামরিক বা স্বৈরাচারী শাসনমুক্ত একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বাস্তবায়িত হবে কিনা।

জাপান সহ শুধুমাত্র নেতৃস্থানীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোই নয় -- বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সাহায্য দাতা -- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ, বরং গ্লোবাল সাউথের অনেক দেশ, যার মধ্যে স্বৈরাচারী এবং গণতান্ত্রিক উভয় দেশ রয়েছে, বিশ্বের অষ্টম উন্নয়নের উপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখবে। - সবচেয়ে জনবহুল দেশ।

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্বামী-স্ত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু

No comments

Sunday, August 25, 2024

 


টাঙ্গাইল, ২৫ আগস্ট ২০২৪:** টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের হামকুড়া গ্রামে শিয়াল মারার জন্য আঁখক্ষেতে পেতে রাখা বিদ্যুতের ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দম্পতি নিহত হয়েছেন।

ঘটনার বিবরণ:

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামকুড়া গ্রামের একটি আঁখক্ষেতে শিয়ালের উপদ্রব ঠেকাতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। গ্রামবাসীর অভিযোগ, শিয়ালের হাত থেকে আঁখক্ষেত রক্ষা করার জন্য ইলেকট্রিক তার দিয়ে ফাঁদ তৈরি করা হয়েছিল। ফাঁদটি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে স্থাপন করা হয়েছিল, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল। 

দুপুরের দিকে ওই দম্পতি, আঁখক্ষেতের কাছাকাছি গিয়ে নিজেদের কোনোভাবে ফাঁদে আটকে পড়েন। ফাঁদটি বিদ্যুতায়িত থাকায় তারা দুজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়রা তাদের মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত পুলিশকে খবর দেয়।

নিহতদের পরিচয়:

নিহত দম্পতির নাম নঈম উদ্দিনের ছেলে কৃষক মো. আরশেদ আলী (৬৫) ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম (৫২)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা হামকুড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

পুলিশের প্রতিক্রিয়া:

ঘাটাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে এবং বিদ্যুতের ফাঁদ পেতে রাখার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:

ঘটনাটি পুরো গ্রামে শোকের ছায়া ফেলেছে। স্থানীয়রা এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ। তাদের দাবি, এমন বিপজ্জনক ফাঁদ স্থাপন না করে শিয়ালের সমস্যার অন্য কোনো সমাধান খুঁজে বের করা উচিত ছিল। 

নিরাপত্তার গুরুত্ব:

এই ঘটনাটি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত নিরাপত্তার গুরুত্বের উপর নতুন করে আলোকপাত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ফাঁদ ব্যবহারের ফলে প্রাণহানির ঝুঁকি খুবই বেশি, এবং এই ধরনের অনিরাপদ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

এই দুঃখজনক ঘটনা একটি শক্তিশালী অনুস্মারক যে, ফসলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া উচিত নয়। এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে এমন বিপজ্জনক পদক্ষেপ পরিহার করা আবশ্যক।

এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক শোকের সৃষ্টি করেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

টাঙ্গাইলে এমপি-মন্ত্রীসহ আ. লীগের ৫৬ নেতার বি'রু'দ্ধে মারুফ হত্যা মা'ম'লা

No comments

Tuesday, August 20, 2024

 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইল শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মারুফ নিহতের ঘটনায় টাঙ্গাইলে এমপি-মন্ত্রীসহ আ. লীগের ৫৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

নিহত মারুফের মা মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে গত রাতে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহম্মেদ শুভ ও টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়।

এছাড়া - গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির, সাবেক সংসদ সদস্য হাসান ইমান খান সোহেল হাজারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, পৌর মেয়র সিরাজুল হক খান আলমগীরকে আসামি করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ, সাবেক পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইলের বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন দে, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম বিপ্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গ্রেফতার

No comments

Tuesday, August 13, 2024




  বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানী ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকার নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ও মন্ত্রীরা গা ঢাকা দেন।

আওয়ামী লীঘ সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ট্রাক উল্টে দীর্ঘ ১৫ কিমি যানজট

No comments

Friday, June 14, 2024

 



(১৪ জুন) শুক্রবার ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পুংলী এলাকায় মালবাহী এক‌টি ট্রাক উল্টে যায়।বন্ধ হয়ে‌ যায় প‌রিবহন চলাচল।


পুংলী থেকে টাঙ্গাইলের আশিকপুর বাইপাস পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃ‌ষ্টি হয়। ফলে ১৫ কিলোমিটার এলাকায় ভোর থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়।

ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকটি সরিয়ে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।


২৪-২৫ অর্থবছরে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পেল ৩০০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বাজেট

No comments

Thursday, June 13, 2024

 


দেশের ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১১ হাজার ৬৯০ কোটি চার লাখ টাকার পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন করেছে ইউজিসি।

বুধবার (১২ জুন) ইউজিসির ১৬৭তম পূর্ণ কমিশন সভায় এ বাজেট অনুমোদিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নে পেয়েছে ৩০০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বাজেট।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব বাজেট পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৮০৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। গবেষণা খাতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সবচেয়ে বেশি ২০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য গবেষণা খাতে ১৮৮ কোটি ৬৫ টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া ইউজিসি থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈদেশিক পিএইচডি স্কলারশিপে ১০ কোটি টাকাসহ গবেষণা খাতে ৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়। 


গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা দেখা করলেন খালেদা জিয়ার সঙ্গে

No comments

Wednesday, September 13, 2023

 নিজস্ব প্রতিবেদন : গণজমিন


খালেদা জিয়া

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

হাসপাতাল থেকে ফিরে গণতন্ত্র মঞ্চের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেছেন, খালেদা জিয়া রাজনীতির বিষয়ে নিজে থেকে কিছু বলেননি। তবে তাঁরা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তাঁকে অবহিত করেছেন। তাঁরা যে আগামী অক্টোবর মাস থেকে একটি জোরাল আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সে কথা জানিয়েছেন। তিনি আন্দোলনের প্রতি তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন।

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জেনেছি। জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) গুরুতর অসুস্থ। তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে।

‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিকের এবং তিনি যদি কারাবন্দি হয়ে থাকেন তার চিকিৎসা পাওয়াটা অধিকারের বিষয়। আইনের কোথাও লেখা নেই যে উনি (খালেদা জিয়া) বিদেশে যেতে পারবেন না। এর আগে বাংলাদেশের অনেকে কারাবন্দি অবস্থায়ও সরকার তাদেরকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন।

বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আ স ম আবদুর রবও কারাবন্দি অবস্থায় বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছেন।

ফলে আমরা মনে করি, বেগম খালেদা জিয়া দেশের একজন সিনিয়র নাগরিক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন। সব অর্থেই তার বিদেশে চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে।

প্রতিনিধিদলে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ছিলেন।
Don't Miss
© all rights reserved
made with গণজমিন মিডিয়া লিমিটেড ২০২৪