- প্রতিটি বিষয় পড়ানো হবে কমপক্ষে ১৩২ ক্রেডিট
- নতুন সিলেবাসে দেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, ইংরেজি, আইসিটি, সফটস্কিল অবশ্যপাঠ্য হবে।
গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে দক্ষতাভিত্তিক এবং বিভিন্ন উন্নত দেশের সঙ্গে মিল রেখে কর্মসংস্থানমুখী শিক্ষাক্রম তৈরি করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের কারিকুলাম পরিমার্জন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্মান পর্যায়ের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করে যুগোপযোগী করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
সম্মান পর্যায়ের ৩১টি বিষয়ের শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩১টি কর্মশালা করা হচ্ছে। স্বনামধন্য ৩১টি কলেজের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ শিক্ষকদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে কর্মশালা হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কর্মশালাগুলো তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য টিম পাঠানো হয়। কলেজ শিক্ষকদের পাঠদানের অভিজ্ঞতা এবং কী ধরনের শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে, কীভাবে শিক্ষকরা যথোপযুক্তভাবে ক্লাসে পাঠদান করতে পারেন, সে বিষয়ে সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মো. মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, ‘এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নতুন কারিকুলামে পাঠদানের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। একই সঙ্গে একটি পৃথক লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’ সমাজবিজ্ঞানী মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘এই কারিকুলামে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলামের ভিত্তিতে পৃথক এলএমএস করে একটি সফটওয়্যার এবং এর কনটেন্ট তৈরি করা হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠের রিসোর্সগুলো সহজেই পাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল এবং বিএনকিউএফের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন সিলেবাস হবে প্রতিটি বিষয়ে কমপক্ষে ১৩২ ক্রেডিটের। সিলেবাসে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস, ইংরেজি, আইসিটি, সফটস্কিল সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীর জন্য অবশ্যপাঠ্য হবে। ২০টি শর্টকোর্স বাছাই করা হয়েছে, যা থেকে দু-একটি বিষয়ভিত্তিক অন্তর্ভুক্ত হবে।
এ লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ের শিক্ষকদের মতামত নেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্দিষ্ট একটি কলেজে ওই এলাকার একই বিষয়ে অনার্সে পাঠদানকারী ১০ জন অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণ করছেন, যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ভিত্তিক একজন শিক্ষক সমন্বয় করে থাকেন। একেকটি কর্মশালা তদারকি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠানো হয়।

No comments
Post a Comment