ফয়েজ আহমদ বলেন, ‘স্টারলিংক অফিশিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকালে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’
গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায় সমাবর্তন। কিন্তু তা থেকে বঞ্চিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অথচ অন্যদিকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায় সমাবর্তন।
একজন শিক্ষার্থীর সমাবর্তনের কথা মনে পড়লে পড়নে কালো গাউন এবং মাথায় কালো টুপি পড়ে এক ফালি হাসি দিয়ে ছবি তোলার দৃশ্যটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময়ের এ দৃশ্য আজীবন স্মৃতির পাতায় থাকে। সকল শিক্ষার্থীদের লালিত একটাই স্বপ্ন থাকে গ্রাজুয়েশন শেষ কর সমাবর্তন পাওয়া। এই সমাবর্তনটি শুধুমাত্র গাউন আর টুপি পড়ে ছবি তুলা নয় এর সাথে অনেক সম্মান এবং গর্বও জড়িত। কিন্তু খুবই দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ ধরনের সম্মান শুধু দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেই দেখা যায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর থেকে বঞ্চিত।
এক সমীক্ষায় দেখা যায়- প্রতি বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক সম্পন্ন করে থাকেন। স্নাতক সম্পন্ন করার পর তাদের হাতে শুধু মাত্র একটি কাগজের সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়, কোন সমাবর্তনা দেওয়া হয় না। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর অথবা এক দুই বছর অন্তর অন্তর সমাবর্তনা দেওয়া হয়ে থাকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে এটা এখন পর্যন্ত স্বপ্নই হয়ে আছে।
যদিও এর আগে প্রতিষ্ঠার আড়াই দশক পর, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হওয়া এ সমাবর্তনায় নানা ভোগান্তিও বিরাজমান ছিল। সমাবর্তনার দিন দেওয়া হয়নি কোন সার্টিফিকেট। ছিল না ভাল কোন ব্যবস্থাপনা। সমাবর্তন পাওয়া সকল স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার। অথচ লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে প্রথম সমাবর্তনাতে গুটি কয়েকজন শিক্ষার্থী পেয়েছিলেন সমাবর্তন।
২০১৭ সাল পেরিয়ে এখন ২০২৫ সাল, কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখনো কোন সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি।
সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আজ বুধবার (১৪ মে)। সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯টি অনুষদের ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
এরপর থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় করার জন্য দাবি তুলে ধরেন।
সকল শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের নিকট অতিদ্রুত দ্বিতীয় সমাবর্তন করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।
অনেক শিক্ষার্থী বলছেন যে, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে সমাবর্তন একটা স্বপ্ন এবং অধিকারের নাম।
'বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়' ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ। অধিভুক্ত কলেজগুলোয় অধ্যয়নরত মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৮ লাখেরও অধিক।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তন হলেও দেশের সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ঠিকানা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সমাবর্তন হয় না।
পাকিস্তানে হামলার সময় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি করেছে পাকিস্তান।
যার মধ্যে তিনটি রাফাল এবং বাকি দুটি মিগ ও সুখোই সিরিজের যুদ্ধবিমান। এ সময় ফাইটার জেটগুলোর পাইলটদের বন্দি করার দাবিও করে তারা। দেশটির এক সামরিক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (৭ মে) সকালে পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলোতে উঠে আসে এ তথ্য।
ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন, ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সাথে সংঘর্ষের পর পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে আছে।
অপরদিকে, সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদরদপ্তর গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে ইসলামাবাদ। দুই দেশের নিয়ন্ত্রণ রেখার ধুনদিয়াল সেক্টরে এর অবস্থান।
রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের সমন্বয়ে গঠিত হতে যাওয়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এর কার্যক্রম শুরু হতে বেশ সময় লাগবে। এ জন্য আগামী ২০৩১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই নাম চূড়ান্ত হলেও ২০৩১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীনে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অধীনে স্বতন্ত্র কাঠামো থেকে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে সাত কলেজ।
আজ রবিবার (১৬ মার্চ) এ তথ্য জানান ইউজিসির উপ-পরিচালক (পাবলিক ইউনিভার্সিটি) জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, ইউজিসির চেয়ারম্যান স্যার আজ সকালে ৭ কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেছিলেন। সেখানে তিনি ৭ কলেজের সমন্বয়ে গঠিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ ঘোষণা করেন।
কবে থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্রতো নাম ঠিক হলো। এখন আইন নিয়ে কাজ করতে হবে। এরপর সংসদে এ আইন পাশ করে তবেই বিশ্ববিদ্যালয়। পুরো কার্যক্রম শুরু করতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
এর আগ পর্যন্ত বর্তমান শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম কী হবে জানতে চাইলে ইউজিসি উপ-পরিচালক বলেন, এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একটি প্রশাসনিক আইনের মাধ্যমেই চলবে। এছাড়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রমও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করবে।
বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকায় রাখায় প্রতিবছর সর্বোচ্চ পদক নোবেল দেওয়া হয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে। এবার চলতি বছরের সম্ভাব্য নোবেল জয়ীর পুরস্কার পেতে পারেন এমন ৩০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে মনোনীত করা হয়েছে। যেখানে জায়গা হয়েছে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
বুধবার নোবেল আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই বছরের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য ৩৩৮ জন মনোনয়ন পেয়েছেন। যার মধ্যে ২৪৪ জন ব্যক্তি ও ৯৪টি সংস্থা রয়েছে। নোবেল আইন অনুসারে, প্রার্থীদের পরিচয় গত ৫০ বছর ধরে গোপন রাখা হলেও রাজনীতিবিদরা জানিয়েছেন, চলতি বছর এই পুরষ্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন। নোবেল পুরস্কার কমিটি মনোনীতদের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখলেও মনোনয়নের যোগ্য ব্যক্তি ও পূর্বের নোবেল বিজয়ী, আইন প্রণেতা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা তাদের প্রস্তাবিত ব্যক্তি বা সংস্থার নাম প্রকাশ করতে পারেন। তেমনই এক ঘোষণায় সোমবার মার্কিন কংগ্রেসম্যান ড্যারেল ইসা এক্সে জানিয়েছেন, ‘তিনি ট্রাম্পকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করবেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন কেউ তার চেয়ে বেশি যোগ্য নয়।’ ইসার এমন মন্তব্যের পর মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনের সংসদ সদস্য ওলেকজান্ডার মেরেঝকোও নভেম্বরে ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দিয়েছিলেন, যাতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। অবশ্য ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য আগেও মনোনয়ন প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে এই বছর তার মনোনয়ন বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন অনেকে। উল্লেখ্য, গত বছর জাপানের পারমাণবিক বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দল নিহন হিডানকিও পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টার জন্য নোবেল শান্তি পুরষ্কার পেয়েছে।
বিশ্বকাপের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৬৪ দল খেলানোর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে দেখছে ফিফা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’ জানিয়েছে, উরুগুয়ের ফিফা কাউন্সিল সদস্য ইগানাসিও আলোনসো গত বুধবার ফিফার বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন। সেখানে ফুটবল-সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ব্যক্তিত্বরা এ নিয়ে শঙ্কার কথাও জানান। তবে ফিফা প্রেসিডেন্ট গিয়ানন্নি ইনফান্তিনো নাকি এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার কথা বলেছেন।
১৯৩০ সাল থেকে ১৩ দল নিয়ে হয় আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপ। এরপর সংখ্যা বদলেছে। শেষবার ১৯৯৮ সালে ফ্রান্স বিশ্বকাপ থেকে শুরু হওয়ার পর ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ দিয়ে শেষ হয়েছে ৩২ দলের বিশ্বকাপ অধ্যায়ও। ২০২৬ আসরে যা বেড়ে ৪৮ হচ্ছে।
এবার ২০৩০ বিশ্বকাপে এটা ৬৪-এ নিয়ে যাওয়ার ভাবনা ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিয়েছে।
প্রস্তাবিত ৬৪ দলের বিশ্বকাপ নিয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে ফিফা, ‘২০৩০ সালে শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ৬৪ দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাবটি যাচাই করা হচ্ছে।
২০২৬ বিশ্বকাপের পরই ফিফা ২০৩০-এর জন্য চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে, আর পুরো ফুটবল বিশ্ব তাকিয়ে আছে সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার অপেক্ষায়!
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসের বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে নজিরবিহীন বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এতে একপর্যায়ে জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করতে বলা হয়।
এতদিন দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই হয়েছে অনেক, কিন্তু এবার কোনো রাখ-ঢাক না রেখে মুখোমুখি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের। ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে মতপার্থক্য একসময় চিৎকার-চ্যাঁচামেচির পর্যায়ে চলে যায়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বছরের যে সম্মান বা অনার্স কোর্স রয়েছে তার মেয়াদ কমিয়ে তিন বছর করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস উপলক্ষে রোববার ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান শিক্ষা উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চার বছরের অনার্স কোর্সকে তিন বছরের কোর্স করা হবে। বাকি এক বছরে ডিপ্লোমা ও কারিগরি ওপর ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেওয়া হবে। তারপর তাদের দুটো সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।”
অধ্যাপক আমিনুল বলেন, “একটা অনার্সের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে; আরেকটা ডিপ্লোমার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে, যে সার্টিফিকেটটা ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্নাতক (অনার্স) প্রোগ্রামের সময়কাল ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, এবং মালয়েশিয়ার মতো দেশে স্নাতক ডিগ্রি তিন বছরের হয়। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, এবং বাংলাদেশের মতো দেশে স্নাতক প্রোগ্রাম সাধারণত চার বছরের হয়।
“তার অনার্স পড়ার যে ড্রিম তাও ঠিক থাকল, আর চাকরিও তারা পাবে, অনেক ভালো চাকরি।”
নতুন ব্যবস্থায় কর্মসংস্থানে বেগ পেতে হবে না বলে মনে করেন বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম। তার ভাষায়, “একটা অভিনব অসাধারণ সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে।”
সমাজের গৎবাঁধা চিন্তাধারার প্রসঙ্গ টেনে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, “সমস্যা হচ্ছে বাপ-মা সবসময় বলে, ‘ছেলেকে বিএ, এমএ পাস করাব’। ছেলে লেখাপড়া করুক আর না করুক, লেখাপড়া করে শিক্ষকতায় থাকুক আর না থাকুক, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে অনার্স-মাস্টার্স পাস করবে।
“তা না হলে বিয়ের বাজারে তাদের অসুবিধা হবে। কন্যাপক্ষ যদি জানে ছেলে বিএ পাস; এমএ পাস না, অনার্স না- তাহলে বিয়ে হবে না তাদের। ভালো বিয়ে ভেঙে যাবে।”
তিনি বলেন, “আবার এটাও ঠিক- যারা পাস করবে, তারা কেউ চাকরিও করবে না। অনেকের চাকরি দরকারও নাই; বাপ-মার টাকা-পয়সা আছে, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে- এগুলো নিয়েই তারা দিব্যি চলতে পারবে।”
ডিপ্লোমা বা কারিগরি ডিগ্রি নিয়ে অনেকেরই যে নাক সিঁটকানো মনোভাব রয়েছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরতে গিয়ে বিশেষ সহকারী আমিনুল বলেন, “এটা একটা ট্যাবু, স্টিগমা রয়েছে গোটা দেশের ভেতর- ‘ডিপ্লোমা যদি পড়ে, কারিগরি যদি পড়ে, তাহলে এটা খুব খারাপ একটা বিষয় হবে। লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারবে না।’
“এটার জন্য খুব অভিনব ব্যবস্থা করতে যাওয়া হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে।”
কারিগরি শিক্ষার আমূল পরিবর্তন আনা হবে জানিয়ে অধ্যাপক আমিনুল বলেন, “যেটার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল দেশের জন্য, সেটা সবচেয়ে অনুন্নত অবস্থায় আছে। তাদের যে শিক্ষক দরকার, তার ১৮ পার্সেন্ট রয়েছে। তাদের প্র্যাক্টিকাল ও থিওরি আছে৷
“প্র্যাক্টিকালের জন্য ল্যাবরেটরি নাই, ট্রেইনার নাই, টিচার নাই। তাই থিওরি পড়িয়ে দেওয়া হয়, পরে ভাইভা নেওয়া হয়। প্র্যাক্টিকাল করানোই হয় না, কিন্তু তার ভিত্তিতেই সার্টিফিকেট দিয়ে দেওয়া হয়। এটার আমূল পরিবর্তন করা হবে।”
তিনি বলেন, “এদের শিক্ষা যেন যথাযথ হয়, ল্যাবরেটরি যেন যথাযথ থাকে, ট্রেইনার যেন যথাযথ থাকে এবং এদের কাজ চলাকালীন সময়ে তাদের জন্য যেন বাইরে ভালো চাকরির ব্যবস্থা করা হয়, এ জন্য তাদের ট্রেইন করা হবে।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষা বিভাগের সচিব কবিরুল ইসলাম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।
সম্পাদক ও প্রকাশক : আবির হাসান । বিভাগীয় প্রধান আবির হাসান(অনলাইন): গণজমিন মিডিয়া লিমিটেড