Responsive Ad Slot




সারাদেশ

সারাদেশ

দ্বিতীয় সমাবর্তন চাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

Wednesday, May 14, 2025

/ by Gono Zamin

 


গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায় সমাবর্তন। কিন্তু তা থেকে বঞ্চিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অথচ অন্যদিকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায় সমাবর্তন। 

একজন শিক্ষার্থীর সমাবর্তনের কথা মনে পড়লে পড়নে কালো গাউন এবং মাথায় কালো টুপি পড়ে এক ফালি হাসি দিয়ে ছবি তোলার দৃশ্যটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সময়ের এ দৃশ্য আজীবন স্মৃতির পাতায় থাকে। সকল শিক্ষার্থীদের লালিত একটাই স্বপ্ন থাকে গ্রাজুয়েশন শেষ কর সমাবর্তন পাওয়া। এই সমাবর্তনটি শুধুমাত্র গাউন আর টুপি পড়ে ছবি তুলা নয় এর সাথে অনেক সম্মান এবং গর্বও জড়িত। কিন্তু খুবই দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ ধরনের সম্মান শুধু দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেই দেখা যায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর থেকে বঞ্চিত।

এক সমীক্ষায় দেখা যায়- প্রতি বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক সম্পন্ন করে থাকেন। স্নাতক সম্পন্ন করার পর তাদের হাতে শুধু মাত্র একটি কাগজের সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়, কোন সমাবর্তনা দেওয়া হয় না। অথচ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর অথবা এক দুই বছর অন্তর অন্তর সমাবর্তনা দেওয়া হয়ে থাকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে এটা এখন পর্যন্ত স্বপ্নই হয়ে আছে।

যদিও এর আগে প্রতিষ্ঠার আড়াই দশক পর, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হওয়া এ সমাবর্তনায় নানা ভোগান্তিও বিরাজমান ছিল। সমাবর্তনার দিন দেওয়া হয়নি কোন সার্টিফিকেট। ছিল না ভাল কোন ব্যবস্থাপনা। সমাবর্তন পাওয়া সকল স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার। অথচ লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে প্রথম সমাবর্তনাতে গুটি কয়েকজন শিক্ষার্থী পেয়েছিলেন সমাবর্তন।

২০১৭ সাল পেরিয়ে এখন ২০২৫ সাল, কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এখনো কোন  সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়নি।

সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আজ বুধবার (১৪ মে)। সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯টি অনুষদের ২২ হাজার ৫৮৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪২ জনকে পিএইচডি ও ৩৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হবে।

এরপর থেকেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় করার জন্য দাবি তুলে ধরেন। 

সকল শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের নিকট অতিদ্রুত দ্বিতীয় সমাবর্তন করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন।

অনেক শিক্ষার্থী বলছেন যে, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে সমাবর্তন একটা স্বপ্ন এবং অধিকারের নাম।

'বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়' ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ। অধিভুক্ত কলেজগুলোয় অধ্যয়নরত মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৮ লাখেরও অধিক।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তন হলেও দেশের সর্বাধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের ঠিকানা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সমাবর্তন হয় না।

এটা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দুঃখজনক, লজ্জাজনক এবং বিব্রতকরও বটে।

আমি মনে করি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন যাবত 'সমাবর্তন' নামক তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এই বছর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

আবার অনেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলে কি সমাবর্তন পাওয়ার অধিকার রাখিনা?

এ বিষয়ে সমাবর্তন প্রত্যাশী শিক্ষার্থী মো: শরিফুল ইসলাম আশিক বলেন, প্রথমত চাই দ্রুত সমাবর্তন করা হোক। দ্বীতিয়ত প্রথম সমাবর্তনে যে সমস্যাগুলো হয়েছে সেগুলো যেন না হয় এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বিশেষ করে আচার্যের হাত থেকে সনদ গ্রহন করা। সার্টিফিকেট ছাড়াই যেন বাসায় ফিরতে না হয়। 
Newer Post পরবর্তী সংবাদ Older Post Home

No comments

Post a Comment

Don't Miss
© all rights reserved
made with গণজমিন মিডিয়া লিমিটেড ২০২৪